মোদীর পররাষ্ট্র নীতি: প্রচুর সফর তো হল, কাজের কাজ কিছু হয়েছে?
তথাকথিত ‘মোদী ডকট্রিন’ দিয়ে সংবাদ শিরোনাম দখল সম্ভব, বিদেশ-নীতিতে সফল হওয়া যায় না৷ চিন-ভারত সম্পর্ক বিপজ্জনক বিন্দুতে, মার্কিনদের থেকে প্রাপ্তিও সামান্য লিখেছেন নীলাঞ্জন হাজরা
ভারতের
পাশাপাশি চিনের সঙ্গে একটা সমান্তরাল সম্পর্ক গড়ে চলেছেন হাসিনা৷ তিনি
নিজে ভারতে আসার মাস ছয়েক আগেই বিপুল সমারোহে বাংলাদেশ সফর সেরে গিয়েছেন শি
জিনপিং৷ তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশকে যে আশ্বাস
দিয়েছিল, তার ভিত্তিতেই নিজের দেশবাসীর কাছে তিস্তার জল নিয়ে আসার
প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাত পুড়িয়েছিলেন শেখ হাসিনা৷ বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর
কাছে সে নিশ্চয়ই খুব সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না৷
শুরু থেকেই শুরু করা যাক৷ মোদীজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেও চোদ্দবার ভারতবাসী প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ দেখেছেন , কিন্তু ২০১৪ -র ২৬ মে -র মতো এমনটি ভারতবাসী কেন, সারা দক্ষিণ এশিয়াবাসী কদাচ দেখেননি৷ একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া, বাকি প্রত্যেকটি দক্ষিণ এশিয় দেশের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট সে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন৷ ঘরে ভারি ঝগড়াঝাঁটি করে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পর্যন্ত৷ সে দিনই মোদীজি ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর ক্যাবিনেটের বিদেশমন্ত্রী টুইট করা, বিপদাপন্ন ভিনদেশি মহিলাদের সাহায্য করা ইত্যাদি বিভিন্ন জরুরি কাজ সারবেন, আর বিদেশনীতির হাল থাকবে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হাতে, সংবাদমাধ্যম যার গালভরা নাম দিয়েছে ‘মোদী ডকট্রিন’৷
কী এই মোদী ডকট্রিন? নিরপেক্ষ ভাবে বোঝা কঠিন৷ প্রধানমন্ত্রী কানে কানে কাকে কী বলেছেন জানি না, কিন্ত্ত ভারতের সার্বিক বিদেশ নীতি নিয়ে তিনি ‘মিত্রোঁ’-দের কাছে তাঁর ‘মন কি বাত’ খোলসা করছেন এমনটা আমি শুনিনি৷ তথাপি ডকট্রিন একটা খাড়া করা হয়েছে হরগিজ৷ সেটি অল্প বিস্তর পরখ করে দেখা যেতে পারে, যদিও প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই তা এমন ব্যর্থ, যাকে বলে ‘ডিজ্যাস্টার’, যে কোনটা দিয়ে শুরু করব ভেবে পাচ্ছি না৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যিনিই যখন যান, বা সে দেশ থেকে যিনিই যখন আসেন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের বিশাল মেহবুব ব্যান্ড এমন শোরগোল তোলে যেন এমন সফরটি এর আগে কোথাও কখনও ঘটেনি৷ মোদীজির ক্ষেত্রেই বা তার অন্যথা হবে কেন? কিন্তু সেটা ছেঁকে বাদ দিয়ে দিলে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে কী বার করে আনতে পেরেছেন তিনি?
ধরা যাক ইরানের ‘রহবর’, অর্থাৎ সর্বোচ্চ ধর্মীয় প্রধান, এবং কার্যক্ষেত্রে সে দেশের বিদেশনীতি সহ যাবতীয় নীতির শেষ সিদ্ধান্তের মালিক , আয়াতোল্লা খামেনি-র এই কিছু দিন আগের, ২৬ জুনের, টুইট-টির কথাই --- ‘Muslim world should openly support people of #Bahrain, #Kashmir,#Yemen, etc and repudiate oppressors & tyrants who attacked ppl in#Ramadan.’ কাশ্মীর ইস্যুর এই বিপজ্জনক আন্তর্জাতিকায়ন এক পাকিস্তান বাদ দিয়ে অন্য কোনও দেশ ইদানীংকালে করেনি৷ কে করলেন এই টুইট? না, ইরানের সর্বশক্তিমান ধর্মীয়-রাজনৈতিক ব্যক্তি, যিনি এমনকী পশ্চিমের ইরান-বিরোধী মহলেও এ বছরেরই মে মাসে প্রশংসিত হয়েছিলেন উদারপন্থী হাসান রুহানিকে দ্বিতীয়বারের জন্য সে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়া সম্ভব করায়৷ যাঁর সক্রিয় সমর্থন ছাড়া ইরানের পক্ষে নিজের পারমাণবিক মারণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়ে (অন্তত উল্লেখযোগ্য ভাবে স্তিমিত করে) জার্মানি ও রাষ্ট্রপুঞ্জের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশকে নিয়ে গঠিত একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুগান্তকারী চুক্তি করে নিজেকে বহুলাংশে অর্থনৈতিক অবরোধ-মুক্ত করা কিছুতেই সম্ভব হত না৷ বিশ্বের প্রতিটি দেশ এই শৃঙ্খলমুক্ত ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের নয়া অধ্যায় লিখতে আগ্রহী।একমাত্র ব্যতিক্রম ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর খাস দোস্ত কট্টর অগণতান্ত্রিক রাজতন্ত্র সৌদি আরব৷ স্বাভাবিক ভাবেই ইরানের শত্রুর তালিকায় এ দু’দেশের অবস্থান সর্বাগ্রে৷ সেই তালিকায় মোদীজি যে ডকট্রিনের খেলায় ভারতকে কী ভাবে যেন ভিড়িয়ে দিলেন, তা সাংঘাতিক আশঙ্কার উদ্রেককারী ডকট্রিন বইকি৷ অথচ তাঁর খচাখচ ভরা-হুয়া বিদেশ সফরের ক্যালেন্ডারে তো ইরান বাদ যায়নি৷ গত বছর মে মাসেই তো কাগজে কাগজে হাসান রুহানির সঙ্গে সে কী হাসি -হাসি ছবি ! টিভি খুললেই সে ক’দিন শুধু ভারত -ইরান ‘মৌ’ ঝরে ঝরে পড়ছে৷ মোট ডজন খানেক৷ তা ছাড়া ভারত মহাসাগরের ওপর ইরানের বিখ্যাত চবাহার বন্দর উন্নয়নে সাহায্য করে ভারত নাকি অ্যাইসন বাজি মাত করবে যে, পাকিস্তানকে তোয়াক্কা না করেই ভারতীয় পণ্য সাঁসাঁ করে মধ্য এশিয়া পৌঁছে যাবে৷ সফর শেষ৷ হাসি-হাসি ছবির সুযোগ শেষ, খোঁজ নিলেই দেখা যাবে চবাহার বন্দরের উন্নয়ন যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই, বরং সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে সরকার এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে নির্দেশ দিচ্ছে --- ধীরে চলো ভায়া, মার্কিনিরা ইরানের ওপর বড়ো চটে আছে৷
ইরানের প্রসঙ্গটা প্রথমেই তোলার কারণ এই যে, এর সঙ্গে মোদীজির বিদেশনীতির মুখ-থুবড়ে পড়া বিদেশনীতির সব থেকে বড়ো উদাহরণটি জড়িত ---কাশ্মীর৷ পাকিস্তানের সঙ্গে একটা রফা ছাড়া কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়৷ এ নিয়ে বিতর্কের বিন্দুমাত্র অবকাশ আছে বলে আমি মনে করি না৷ কাজেই মোদীজি শপথগ্রহণের দিনটি থেকেই কসম খেয়েছিলেন ভারত-পাক সম্পর্কের মোড় ঘুরিয়েই ছাড়বেন৷ প্রধানমন্ত্রীর হুকুম, প্লেন ঘোরাও, দিল্লি নয়, উনি লাহোর যাবেন নওয়াজ সাহাবের সঙ্গে একটু চা-পান করতে৷ ২০১৫-র ২৫ ডিসেম্বরের সে বিকেলের কথা কেউ কখনও ভুলবে ? পাকিস্তানকে জাপটে ধরার অত্যাশ্চর্য মোদী ডকট্রিন ! নিট ফল? ২০১৪-য় ব্যাপক ভাবে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিল যে উপত্যকা, তা এমনই উত্তাল যে সরকার স্রেফ দিশেহারা৷ আর সীমান্তপার করে উপর্যুপরি পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী হামলা৷
পাকিস্তানের আঁচড়-কামড় না হয় পাল্টা আঁচড়-কামড় দিয়ে সামলাতে আমরা অভ্যস্ত বহুকাল৷ মোদীজি তাতে বিশেষ কিছু যোগ করেননি, আর কাশ্মীরকে চরম অস্থিরতার মুখে ঠেলে দেওয়া ছাড়া তা থেকে কিছু বিয়োগও করেননি৷ কিন্তু চিন? এ লেখা যখন লিখছি, ঠিক সেই সময় সংবাদমাধ্যমে খবর ‘ব্রেকিং’ --- চিন সে দেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের জানিয়ে দিয়েছে ‘patience with India won’t be indefinite”৷ সত্যিই বিদেশনীতির ব্যর্থতার যদি একটি ধ্রুপদী সংজ্ঞা তৈরি করা যায় তার ঝলমলে উদাহরণ হবে মোদীজীর চিন-নীতি৷ আমাদের দীর্ঘকালের বড়ো শখ আমরা নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ (এনএসজি)-র ৪৯তম সদস্য হব৷ চিন আটকে দিয়েছে৷ মাসুদ আজহারের মতো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদীকে রাষ্ট্রপুঞ্জ কালো তালিকাভুক্ত করলে ভারতের নিশ্চয়ই সুবিধা, চিন আটকে দিয়েছে৷ ভারতীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের ছ’টি জায়গার নতুন নাম দিয়ে দিয়েছে চিন৷ আর এই মুহূর্তে ভূটানের দোকলাম অঞ্চলে চিনের রাস্তা তৈরির প্রকল্প ঘিরে ভারত-চিন এমন এক দ্বৈরথের মুখোমুখি যেমনটা ১৯৬২-র পর আর দেখা যায়নি৷ আত্মসম্মানে যতই সুড়সুড়ি লাগুক এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, অরুণাচল থেকে সিকিম হয়ে জম্মু-কাশ্মীরের দীর্ঘ সীমান্তটুকুই নয়, প্রয়োজনে নিঃসন্দেহে পাকিস্তান, এমনকী নেপাল, মায় শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকেও ব্যবহার করেও চিন ভারতকে সামরিক-কূটনৈতিক জালে এমন ঘিরে ফেলতে পারে যে অর্থনৈতিক নাভিশ্বাস ওঠার সম্ভাবনা৷
এর মধ্যে সব থেকে চিন্তার কারণ নেপাল৷ ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যে কাঠমান্ডু হাজির হয়ে ঘটা করে পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে সেখানে ছয় লক্ষ ডলার মূল্যের চন্দন কাঠ দান করার পরেও, যখন ফাঁস হয়ে গেল নেপালের সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়ায় নাক গলাতে চাইছে ভারত, সে দেশের মানুষ-মিডিয়া ‘ব্যাক-অফ ইন্ডিয়া’ স্লোগানে উত্তাল হয়েছিলেন৷ কূটনৈতিক দুনিয়ায় কান পাতলে শোনা যাবে শেষ পর্যন্ত যে সংবিধান তৈরি করেছে নেপাল, নরেন্দ্র মোদী সরকার তাতে মোটেই খুশি হয়নি৷ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সে দেশের জন্মমুহূর্ত থেকে বহুমাত্রিক ও গভীর৷ কিন্তু বাংলাদেশের নিজস্ব বিদেশনীতি খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে ভারতের পাশাপাশি চিনের সঙ্গে একটা সমান্তরাল সম্পর্ক গড়ে চলেছেন হাসিনা৷ তিনি নিজে ভারতে আসার মাস ছয়েক আগেই বিপুল সমারোহে বাংলাদেশ সফর সেরে গিয়েছেন শি জিনপিং৷ আর এও মনে রাখতে হবে বইকি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কোনও সমঝোতায় না এসেই তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশকে যে আশ্বাস দিয়েছিল, তার ভিত্তিতেই নিজের দেশবাসীর কাছে তিস্তার জল নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাত পুড়িয়েছিলেন শেখ হাসিনা৷ বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সে নিশ্চয়ই খুব সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না৷
এ তো গেল ঘরের কথা৷ ঘর থেকে আর একটু লম্বা দু’পা ফেললেই আমরা একটা যুগান্তকারী চুক্তির মধ্যে গিয়ে পড়ব৷ ২০ নভেম্বর, ২০১৪ পাকিস্তানের সঙ্গে এই সামরিক চুক্তি করে রাশিয়া৷ সেই থেকে দু’দেশের মধ্যে অন্তত সামরিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক গভীরতর হতেই থেকেছে৷ প্রকৃত অর্থেই দক্ষিণ এশিয়ার কোনও দেশের বিদেশনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটালেন নওয়াজ শরিফ৷ ভারতের পোড় খাওয়া বিদেশনীতির বিশেষজ্ঞরা এ খবর শুনে থমকেছেন নিশ্চয়ই৷ ঠিক যে মুহূর্তে চিন আর রাশিয়ার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে ভারত, পাকিস্তান লম্বা লম্বা পা ফেলে ঠিক তার উল্টো দিকে হাঁটছে৷ আর মনে রাখতে হবে রাশিয়া-ইরান সম্পর্কও গভীর৷ চার পাশ থেকে এই ভাবে ঘিরে ধরা ব্যর্থতার কী ভাবে মোকাবিলা করবেন ভাবছেন মোদীজি? বোঝা অসম্ভব৷ হয়তো কালাপানি টপকে বন্ধু ধরে এনে৷ এ পর্যন্ত যে সব দেশে পাড়ি জমিয়েছেন, তার মধ্যে সব থেকে বেশি গিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যিনিই যখন যান, বা সে দেশ থেকে যিনিই যখন আসেন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের বিশাল মেহবুব ব্যান্ড এমন শোরগোল তোলে যেন এমন সফরটি এর আগে কোথাও কখনও ঘটেনি৷ মোদীজির ক্ষেত্রেই বা তার অন্যথা হবে কেন? কিন্তু সেটা ছেঁকে বাদ দিয়ে দিলে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে কী বার করে আনতে পেরেছেন তিনি? এক, যে এইচ১বি ভিসাকে বলা যেতেই পারে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের মেরুদণ্ড , তাকে কঠিনতর করার এমন একটি প্রস্তাব যে সে শিল্পে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গেছে৷ আর দুই, প্যারিস পরিবেশ চুক্তি ছাড়ার অজুহাত দর্শাতে গিয়ে ভারতকে ‘পাঞ্চিং ব্যাগ’ বানিয়ে বেমক্কা ঘুষি৷ এর পাশাপাশি খুব সম্প্রতি ট্রাম্প এ কথাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, উত্তর কোরিয়াকে সামলাতে হবে, তাই চিনকে তিনি আর ঘাঁটাবেন না৷
সমস্যা হল, মোদীজীর এই তথাকথিত ডকট্রিনের মধ্যে একটা ছুটে যাওয়ার, বুকে টেনে নেওয়ার, তাক লাগিয়ে দেওয়ার আদেখলামো রয়েছে৷ এতে শিরোনাম দখল করা যায় বটে , কিন্তু বিদেশনীতিতে সাফল্য অর্জন করা অসম্ভব৷ তা আরও অসম্ভব হয়ে ওঠে, আসলে যখন বিদেশনীতিকে প্রধানমন্ত্রী ভোট টানার আরও একটা অস্ত্র ঠাওরে বসেন৷ সমস্যা হল, তাঁর এই ‘একটা দাগ রেখে যাওয়ার’ বেপরোয়া হুড়োহুড়িতে ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে এমন বাজ গজরাতে শুরু করছে যা পড়বে সাধারণ মানুষের মাথায়৷ ২০১৪-তে পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করে রাশিয়া৷ সেই থেকে দু’দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক গভীরতর হতেই থেকেছে৷ ঠিক যে মুহূর্তে চিন আর রাশিয়ার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে ভারত, পাকিস্তান ঠিক তার উল্টো দিকে হাঁটছে।
এই সময়, কলকাতা!