বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬

সাতের দশকে আরএসএস প্রকাশিত বইতে টিপু দেশভক্ত, তাদের চোখেই তিনি এখন হিন্দুবিদ্বেষী

রাষ্ট্র তো আছেই, ইতিহাসবিদের কী দরকার?

নিজেদের সুবিধার্থে ব্রিটিশ শাসকরা যেভাবে ইতিহাস লিখেছে, সেই একই মডেল অনুসরণ করছে হিন্দুত্ববাদীরা৷ সেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই প্রধান, তথ্য গৌণ৷

 

 অনির্বাণ ভট্টাচার্য


আমাদের এ ভূখণ্ডে ইতিহাসকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে বোঝার বা দেখার যে প্রক্রিয়া, অভ্যেস, তার উত্স সন্ধানে বেরোই যদি, তবে গিয়ে থামব সেই ঔপনিবেশিক যুগে৷ অধীনস্থের সে অতীত -আখ্যান, যখন সেই প্রভুরা বা তাদেরই নিযুক্ত ইতিহাসবিদরা লিখতে শুরু করলেন, তখন তা দেখা হল, স্পষ্টতই ধর্মের দৃষ্টিকোণ দিয়ে৷ তাতে অনায়াসেই সেঁধিয়ে গেল এমনকী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মতাদর্শ, ঘটনাবলীও৷ অর্থাত্ সে সবও, অতঃপর ওই ধর্মের আতসকাচ দিয়ে দেখা হতে থাকল৷ জেমস মিল -এর সে কালের ইতিহাসকে হিন্দু, মুসলমান পর্বে ভাগ, এহেন প্রবণতারই জলজ্যান্ত উদাহরণ৷ ইতিহাসের এই স্তর -ভাগ, নিশ্চিত ভাবেই বিভেদকামী, কারণ তা না হলে তো, ব্রিটিশ শাসনকালও মান্যতা পায় না৷ এমত ইতিহাসদর্শনের উদ্দেশ্য জানা সত্ত্বেও, আমরা দেখেছি পরবর্তী সময়ের বহু ইতিহাসবিদ, ওই পর্বভিত্তিক ভাবনাতেই মগ্ন থেকেছেন৷ স্কুল, কলেজের পাঠ্যক্রমও দিনের পর দিন সেই মর্মে চালিত হয়ে এসেছে৷ ফলত, অসংখ্য প্রজন্মের ভাবনাজগতও সে ছাঁচে নির্মিত হয়েছে৷

টিপুকে কখনওই নিজ রাজ্যে মন্দির ভাঙতে দেখা যাচ্ছে না৷ মারাঠাদের হাতে শৃঙ্গেরি মঠের ধ্বংসের খবর পাওয়া মাত্র, টিপু কিন্তু তত্ক্ষণাৎ পুনর্নির্মাণের সমস্ত দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন৷


সিনেমার মতো দৃশ্যান্তরের ফলে যদি এ বার আমরা ইতিহাসকে গোঁড়া হিন্দু দৃষ্টিকোণ দিয়েই দেখতে চাই, তবে দেখব, ব্রিটিশদের ওই ধর্মের নিরিখে যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিচার, এক্কেবারে অন্য মাত্রা পেয়ে যাচ্ছে এ ক্ষেত্রে৷ ঔপনিবেশিক ইতিহাসলিখনের স্ট্রাকচারে যবন বা ইসমালপন্থীদের অরাজকতা ও অত্যাচারের খোলামেলা, যথেচ্ছ বিবরণ, ‘হিন্দু’দের হাতে পড়ে বেশ সুকৌশলেই হয়ে যাচ্ছে ‘বহিরাগত’ বনাম আদি নিবাসীর সংঘাত৷ রামজন্মভূমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের যে রাজনীতি, তা-ই তো চোখে আঙুল দিয়ে এই প্রবণতা ব্যক্ত করে৷ যে রাজনীতি, সে প্রকার ইতিহাসদর্শনের মাধ্যমে সাধারণের মনে এক বিশেষ চেতনা জাগাতে সক্ষম হয়৷ সেই চেতনা ধর্ম বা সেই ধর্মের প্রতি অন্ধবিশ্বাসকে, প্রকৃত যুক্তির উপরে স্থান দেয়৷ এবং অতিযত্নে এক রকম শত্রুকেও চিহ্নিত করে, যারা বহিরাগত, ফলে আদি নিবাসীদের ধর্মে আঘাত করতে ব্রতী৷

এখানে স্মর্তব্য, সাম্প্রদায়িক ইতিহাসদর্শনের সঙ্গেই কিন্ত্ত এখানে এক ক্ষেত্রে বিচরণ করছে পুনরুত্থানবাদও৷ উনিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে, বঙ্কিমচন্দ্র, বিবেকানন্দ বা দয়ানন্দ সরস্বতী যখন হিন্দু ধর্মের অনন্ত ঘুম ভাঙিয়ে তাকে ফের চাগিয়ে তুলতে ব্রতী, তখন সে প্রকল্পের মূলমন্ত্র কিন্ত্ত কখনওই অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে জেহাদ ছিল না৷ ক্রিটিক তাঁরা নির্ঘাত্ করেছিলেন, অন্য ধর্মের, বিশেষত দয়ানন্দ সরস্বতী, কিন্ত্ত তাঁর কর্মের বিশদে আলোচনা দেখাবে, অন্য ধর্মের প্রতি তাঁর অশেষ ঘৃণা সত্য নয়৷ তাঁরা চেয়েছিলেন, নিজ ও অন্য ধর্মের তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে, নিজ ধর্ম, এ ক্ষেত্রে হিন্দু ধর্মের অন্তঃস্থলের উপলব্ধি৷ এবং প্রকৃত অর্থে, তার পুনরুত্থান৷ কিন্ত্ত ঠিক এই চিত্রকল্পে, বা বলা ভালো সঙ্ঘ পরিবার নির্দেশিত কর্মকাণ্ডে, যখন সেই অন্য ধর্ম হয়ে যায় ‘অপর’, তখন? তখন পুনরুত্থান এক অন্য অর্থ পায়, মাত্রা পায়, এবং সে ‘অপর’, যে আবার ‘বহিরাগত ’-ও, সে ‘আদি নিবাসী ’ হিন্দু-আকাশে দুর্ধর্ষ দুশমন হয়ে উদয় হয়৷

হিন্দুরা অবশ্য কোন জাদুবলে, নির্দ্বিধায় এ ভূখণ্ডের আদি নিবাসীরূপে ভূষিত হল, কেই বা সে সম্মান তাদের তুলে দিল, সে প্রসঙ্গ অবশ্য বর্তমান আবহে অর্থহীন৷ নিজেদের পাক্কা আর্য-বংশধর রূপে কল্পনা করা সঙ্ঘিদের যদি কেউ গিয়ে শোনায়, অ্যানথ্রোপোলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এক তথ্য, যা অনুযায়ী এ দেশে, ৪৬৩৫ প্রকার সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রয়েছে, যাদের শারীরিক গঠন, বেশভূষা, ধর্মীয় উপাসনার পন্থা, ভাষা, নিয়মরীতি ইত্যাদি সবই ভিন্ন, এবং এর মধ্যে অধিকাংশ সম্প্রদায়েরই বংশধারা মিশ্র৷ কিন্ত্ত এই প্লুরালিটিকে মান্যতা দিলে তো সঙ্ঘ পরিবারের এই হিন্দু রাষ্ট্র গড়ে তোলার গোটা প্রকল্পই মার খেয়ে যায়৷ অতএব চলে, ‘ঘর ওয়াপসি ’ বা বহিরাগতের শুদ্ধিকরণ৷

হিন্দুত্ব ভাবধারায়, আদি নিবাসীদের পরিসর অশুদ্ধ করা ছাড়াও, এই বহিরাগতরা, যে আরও একটি কাজ প্রবল ভাবে করে দিয়েছে, তা হল, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তুমুল অশান্তি খাড়া করা৷ বিনায়ক দামোদর সাভারকরের ইতিহাস পড়লে যেমন স্পষ্ট হবে, যে ভারতের ইতিহাস আদতে, বারংবার বিদেশি আক্রমণ ও তার বিরুদ্ধে কঠোর হিন্দু প্রতিরোধেরই মহা -আখ্যান৷ তিনি কিছু পরাক্রমী রাজা বাছাই করে নেন, যাঁরা এই ‘হিন্দু রাষ্ট্র ’কে টিকিয়ে রাখতে, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে প্রাণ লড়িয়ে দিয়েছিলেন, শত্রুপক্ষকে সফল ভাবে প্রতিহতও করেছিলেন৷ সাভরকর, চন্দ্রগুন্ত ও পুষ্যমিত্র সুঙ্গ-এর কথা লেখেন, যখন গ্রিক আক্রমণ সামলানো গিয়েছিল, সাভারকর আরও তুলে ধরেন, বিক্রমাদিত্য ও যশোধর্মা -র কথাও, যাঁরা শক ও হূণদের হারিয়ে, সেই ‘হিন্দু রাষ্ট্র ’-এর মান রক্ষা করেছিলেন৷ এখানে অবশ্য ভাবার, এই যে বিক্রমাদিত্যের কথা তিনি বলছেন, তিনি আসলে কে? দ্বিতীয় চন্দ্রগুন্ত কি ? সাভারকর কিন্ত্ত তা স্পষ্ট করছেন না৷ ‘প্রকৃত’ ইতিহাসের পাঠ বোঝাবে, যে দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিক্রমাদিত্য কিন্ত্ত বহু কালের এক কিংবদন্তি৷ বিশেষ কোনও ব্যক্তি কি আদৌ, প্রবল সংশয় রয়েছে৷ খোদ দ্বিতীয় চন্দ্রগুন্ত -ও নিজ কীর্তির মান্যতাস্বরূপ নিজ নামের সঙ্গে বিক্রমাদিত্য জুড়ে নিয়েছিলেন৷ তো সাভারকর প্রথমত কী করলেন ? কিংবদন্তিকে বা উপকথাকেও ‘প্রকৃত’ ইতিহাসের মান্যতা দিলেন৷ ইতিহাসের এমন এক অর্থও করলেন, যা কল্পিত, বিভ্রান্তিকরও৷ দ্বিতীয়ত, তিনি বললেন, এমন সব রাজারাজড়াই নাকি ছিলেন, দেশভক্তির প্রতিভূ৷ এখানে বিচার্য, সাভারকর কোন দেশের কথা বলছেন ? ভারত? কিন্ত্ত সে কালে তো ‘দেশ’ নামক আধুনিক ধারণা, দূর অস্ত৷ অর্থাত্, নির্দিষ্ট একটি গণ্ডির ভূখণ্ডকে দেশ বলে ভাবার কোনও কারণও নেই৷ ফলে, কারই বা সে ‘দেশ’, কেই বা সেখানে ‘বহিরাগত’, তাও কি বিচার্য নয় ? তবুও, নানা ক্ষেত্রে এই ‘দেশ’-এর কল্যাণার্থেই যে ভাবে উপরে উল্লিখিত পরাক্রমী জন, তা ছাড়া রাজারাজ চোল বা কৃষ্ণদেব রায় বা হেমু বিক্রমাদিত্যের মতো রাজাদেরও প্রকৃত দেশভক্ত বানিয়ে ফেলা হয়েছে, হচ্ছেও, তার ভিত্তি নিয়েই প্রশ্ন জাগে৷ এবং এক রাজনীতিও এখানে স্পষ্ট হয়৷ গৈরিকীকরণের এ প্রকল্প নির্দিষ্ট এক ‘নেশন বিল্ডিং’য়ের নীলনকশা৷ যে কারণে, রাজারাজ চোল বা কৃষ্ণদেব রায়রা ‘অসংখ্য ’ যুদ্ধ জেতেন, অথচ বিজিতদের পরিচয় পাওয়া যায় না৷ কিন্ত্ত যেই সে রাজা অন্য ধর্মের হন, যেমন ধরা যাক টিপু সুলতান, তখনই এক -এক করে চিহ্নিত হতে থাকে, পরাজিত জনেরা৷ মুহূর্তেই সেই নিপীড়িত, পরাজিতদের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদীরা, এক অমোঘ সম্পর্ক স্থাপন করে৷ এক রকম ইতিহাসকে নিশ্চিত ভাবেই অন্য দৃষ্টিকোণ দিয়ে যাচাই করা হয়৷

টিপু’র ক্ষেত্রেই যেমন দেখলে দেখব, হিন্দুত্ববাদীরা, ইদানীং খুব সরব, তাঁর মন্দির ভাঙার ঘটনা নিয়ে৷ নিঃসন্দেহে তিনি তা করেছিলেন, ইতিহাস সাক্ষী, কিন্ত্ত তিনি মন্দির রক্ষাও যে করেছিলেন, ধ্বংস হয়ে যাওয়া মন্দিরের সাহায্যের এক রাশ অনুদানও দিয়েছিলেন, (মালাবার আক্রমণ উদাহরণস্বরূপ দ্রষ্টব্য ) সে সবেরও তো সাক্ষী ইতিহাস৷ কিন্ত্ত সে ইতিহাস তো ‘হিন্দু’ ইতিহাস নয়, অতএব৷ তা ছাড়া, টিপুকে কখনওই নিজ রাজ্যে মন্দির ভাঙতে দেখা যাচ্ছে না৷ এক না যদি, তা কোনও বিদ্রোহের শাস্তিরূপে হয়৷ এমনকী, মারাঠাদের হাতে শৃঙ্গেরি মঠের ধ্বংসের খবর পাওয়া মাত্র, টিপু কিন্ত্ত তত্ক্ষণাত্ পুনর্নির্মাণের সমস্ত দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন৷ তা অবশ্য হিন্দুত্বের পরিধি -বহির্ভূত৷ এখানে খেয়াল করা সমীচীন হবে, অওরঙ্গজেব -ও কিন্ত্ত ফরমান জারি করে বেনারসের ব্রাহ্মণদের বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন৷ খানিক পিছনে ফিরে দেখব বাবর -ও তাঁর এক ফতেহ্নামা -য় কাফির রূপে বেশ কিছু ইসলামপন্থীরও নাম রেখেছিলেন বা বিজয়নগরের রাজারাও ‘হিন্দু রায় সুরত্রাণ ’ উপাধি নিয়েছিলেন, অর্থাত্ হিন্দু রাজাদের মধ্যে সুলতান৷ আসলে, সমস্যা এখানে যেমন, ইচ্ছাকৃত ভাবেই এক অন্য ‘ইতিহাসসৃষ্টি ’র প্রয়াসের, তেমনই প্রাক-আধুনিক সমাজকে না বোঝাটাও কিন্ত্ত মহাসমস্যার৷ গণ্ডগোল সেখানে ইতিহাসশিক্ষার, কিন্ত্ত সে প্রসঙ্গ ভিন্ন, আপাতত থাক৷ সে কালকে যদি আমরা শুধুই প্রচলিত ধর্মের দৃষ্টিকোণ দিয়েই দেখি, বড়ো গলদ হবে৷ হচ্ছেও৷ মন্দির ধ্বংসেরই যদি প্রসঙ্গে আসে, তবে মনে করা উচিত, চোল, চালুক্য, পল্লব বা পাল রাজারাও কিন্ত্ত এই ‘দোষে ’ দোষী৷ বুঝতে হবে, অধিকাংশ এমন কাণ্ডই, অর্থনৈতিক কারণে৷ সুকৌশলে সে সব ‘বাস্তব’ ঔপনিবেশিক প্রকল্পে পড়ে, এক রকম ভাবে দর্শিত হয়েছে, এবং হিন্দুত্ববাদীরাও, নিপুণ ভাবেই, সেই অদৃশ্য সুতো খুঁজেপেতে, এ বার নিজ ছাঁচে বেঁধে নিয়েছেন৷ তাই এক দিকে, ‘বাবর কে সন্তান’ রূপে এক দল চিহ্নিত হচ্ছে, অন্য দিকে, নিজ প্রকল্পের সফল রূপায়ণ হেতু, হিন্দুত্ববাদীরা একে একে খাড়া করছে, হেমু’র মতো পরাক্রমী ‘হিন্দু রাষ্ট্র ’ কায়েমে সচেষ্ট রাজাদের, আবার বিস্মৃতির আড়াল থেকে ফিরিয়ে আনছে দীনদয়াল উপাধ্যায় বা নানাজি দেশমুখের মতো সঙ্ঘ -মনস্ক চরিত্রদেরও৷ কেক-এর উপর উজ্জ্বল চেরি ’র ন্যায় এমনকী কংগ্রেসের লৌহকপাটে ছিদ্র করে তুলে আনছে, সর্দার প্যাটেলের মতো নেতাকেও৷ সার্জিকাল স্ট্রাইক তো এরেই কয় কত্তা! আর যে টিপু গত শতাব্দীর সাতের দশকে, আরএসএস প্রকাশিত ‘ভারত ভারতী’ সিরিজে দেশভক্ত রূপে ভূষিত হয়েছিলেন, তিনিই ২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটের আগে, হঠাৎই তাদের চোখেই ‘ব্যাড মুসলিম’৷

অতীতের অর্থোদ্ধারে আর পেশাদার ও দক্ষ ইতিহাসবিদের কী প্রয়োজন? সরকারই তো আছে৷ ঠিক সেই ব্রিটিশ যুগের মতো, তারাও নিজ স্বার্থরক্ষার হেতু, ইতিহাসনির্মাণ করে নেবে, প্রয়োজনে তার বিকৃতিও, হীরকরাজের সেই মস্তিষ্কপ্রক্ষালন যন্ত্রের মতোই, স্কুল-কলেজের ইতিহাসপুস্তক, ছবি, নাটক, প্যামফ্লেট, অডিও, ভিডিয়ো ইত্যাদিকে ব্যবহার করে, সাধারণের চেতনায় ঢুকিয়ে দেবে, ‘শ্রী রাম জন্মভূমি কা রক্ত্ রঞ্জিত্ ইতিহাস’৷

যাতে নাকি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে মোট ৭৭ খানি যুদ্ধে, ১৭৪০০০ হিন্দু প্রাণ দিয়েছিলেন৷ কবে, কোথায়, সাক্ষী কই, প্রমাণ কী ইত্যাদি প্রশ্ন নির্ঘাত্ অবান্তর ও ভিন্ন এক কিস্সা৷


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন