আত্মপরিচয়ের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাই একদা দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিকে জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল
তামিলনাড়ুর ‘লৌহ প্রজাপতি’, জয়রাম জয়ললিতা (১৯৪৮-২০১৬) চলে গেলেন; তাঁর আজীবন শত্রু করুণানিধিও অশীতিপর ও অসুস্থ৷ অনেকেই মনশ্চক্ষে দেখছেন ডিএমকে-এআইডিএমকের তামিল রাজনীতিতে দ্বৈত শাসন শেষ হয়ে এল বলে; অনেকেই বলছেন এ এক যুগের অবসান৷ কিন্তু এ যুগ কোন যুগ? জনমানসে এই যুগ মনে করায় দক্ষিণি রাজনীতির হিন্দি-বিরোধিতা, জনপ্রিয় সিনেমার পুরুষ তারকাদের রাজনীতিতে বিরাট, প্রায় একচ্ছত্র প্রভাব, এবং বিভিন্ন জনমোহিনী ওয়েলফেয়ার স্কিমের কথা৷
বাঙালি--- যারা আজও দাক্ষিণাত্য বলতে ‘মাদ্রাজি’ বোঝে--- অপরিসীম তাচ্ছিল্যের সাথে এতকাল দেখে এসেছে দক্ষিণি রাজ্যগুলির রাজনীতিতে চিত্রতারকাদের প্রাদুর্ভাব, তাদের ‘এক টাকায় চাল’ যোজনা, ইত্যাদি; সেই বোম্বাগড়ের দেশে লোকে না কি ঈশ্বরের নামভূমিকায় নামা চিত্রতারকাদের খোদ ভগবানের সাথে গোলায় বলেই এই সব তারকাদের রাজ্যের মসনদে বসায়! আমরা অবশ্য খুব সক্ষম ভাবে ভুলে যাই যে এই বোম্বাগড়ের দেশগুলি সব পরিসংখ্যান বিচারেই গোবলয় বা পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে অনেক অনেক এগিয়ে, এবং তামিলনাড়ুর চেয়ে কার্যকরী সমাজকল্যাণ যোজনা ভূভারতে মেলা দুষ্কর৷ সুতরাং আত্মম্ভরিতার বাইরে বেরিয়ে যদি আমরা তামিল, বা দক্ষিণি, রাজনীতিকে দেখি তা হলে সবার আগে বুঝে নিতে হবে:
অ) সিনেমার সঙ্গে রাজনীতির যোগাযোগ কোনও বালখিল্যের খামখেয়ালি নয়, বরং ভারতীয় রিপাবলিকের এক গভীর অসুখের ফল ;
আ ) দক্ষিণি রাজনীতি ও জনপ্রিয় সিনেমার কিমিতি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল ;
ই) এই কিমিতির মূলে কোনও ঈশ্বরবিশ্বাস নয়, বরং আঞ্চলিকতার প্রশ্নটি লুকিয়ে আছে ; এবং
ঈ) যদিও বর্তমান দক্ষিণি রাজনীতির ঐতিহাসিক প্রস্থানমূল সিনেমা ও রাজনীতির কিমিতি, তাঁর বর্তমান ও ভবিষ্যত সেই প্রস্থানমূল ছাড়িয়ে অনেক দূর চলে এসেছে৷
আমাদের জাতীয়তাবাদে ‘আঞ্চলিক’ সত্তা --- যা আদতে ও যথার্থে জাতীয় সত্তা ---চিরায়ত অবদমিত হওয়ার ফলে, ফ্রয়েডিয় ভাষায় ‘অবদমিতের প্রত্যাবর্তন’-এর রূপও ভিন্ন হতে বাধ্য৷ স্বাধীনতার ঠিক আগে ও পরে, হিন্দি ভাষা ও হিন্দু-কেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদের উল্লম্ফিত জয়গানের মুহূর্তে, মূক ‘আঞ্চলিক’ মানুষ যে অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহের কাউকে-চেনোনা-তুমি-তোমাকে-চেনেনা-কেউ সুরক্ষায় সাদা পর্দার সব-পেয়েছির-দেশে নিজেদের আত্মপরিচয়ের স্বপ্ন দেখবে, সে কথা বুঝে নেওয়া কি সত্যই কঠিন? তামিলনাড়ুর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আঞ্চলিক পার্থক্য (দ্রাবিড়িয় রাজনীতি) ও জাতিভেদবিরোধী চিন্তা (ব্রাহ্মণ-বিরোধী রাজনীতি) স্বাধীনতা-প্রান্তির বেশ কিছুটা আগে থেকেই প্রধান হয়ে উঠেছিল, প্রধানত ই ভি রামস্বামী নাইকার, বা পেরিয়ার, ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত দ্রাবিড় কাড়াগমের (ডিকে) দৌলতে৷ কিন্তু পেরিয়ারের মুক্ত-চিন্তা-কেন্দ্রিক, নাস্তিক, জাতপাত-বিরোধী, যুক্তিবাদী, নারীবাদী রাজনীতি থেকে অনেকটা আপসের রাস্তায় সরে এসে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হল দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাড়াগম, বা ডিএমকে৷
ভারতীয় পিতৃতান্ত্রিক আধুনিকতার বহু পুরাতন দুর্বলতা অন্নদায়িনী মা; জয়ললিতা সেই দৌর্বল্যে ভর করেই রাষ্ট্রযন্ত্রের সমার্থক হয়ে ওঠেন৷ আম্মা ক্যান্টিন, ফার্মেসি ও ফ্যানের দৌলতে পৌঁছে যান তামিলনাড়ুর ঘরে ঘরে৷
ডিএমকের নেতৃবৃন্দ শুরু থেকেই চলচ্চিত্রের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলেন; আন্নাদুরাই ও তাঁর উত্তরসূরি করুণানিধি অসংখ্য সফল ছবির চিত্রনাট্যকার তো বটেই, ডিএমকের অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিখ্যাত গীতিকার কন্নাদাসন ও মঞ্চাভিনেতা ভি নেদুঞ্চেড়িয়ান৷ পেরিয়ারের বৈপ্লবিক চিন্তাকে আমরা এক ভাবে বাবাসাহেব আম্বেদকরের দলিত রাজনীতির সমান্তরাল হিসেবে দেখতে পারি; সেই প্রস্থান থেকে সরে এসে এক ধরনের সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের জন্ম দিল ডিএমকে’র উত্থান৷ এই উত্থানে সঙ্গ দিয়েছিল সিনেমা নামের সেই জনমাধ্যমটি, যা একটি প্রায়-নিরক্ষর দেশে সর্বগ্রাহ্য হয়েও মধ্যবিত্ত উন্নাসিকতার দাপটে দুয়োরানি হয়ে রইলো চিরদিন৷ এখানে আঞ্চলিকতা ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের সমান্তরালটি প্রণিধানযোগ্য: দুইই একই সাথে ‘পপুলার’ এবং সেই কারণেই ঘোর সন্দেহের বস্তু! কিন্তু যে ভঙ্গিমাতে ডিএমকের নেতৃবৃন্দ সে দিন দ্রাবিড়িয় জনপ্রিয় রাজনীতিকে গড়ে তুলেছিলেন জনপ্রিয় সিনেমার মাধ্যমে, তার পিছনে প্রচ্ছন্ন আছে যাঁর জীবন ও কর্ম, তিনি স্বয়ং এম কে গান্ধী৷ যে ‘ভক্তি’কে হাতিয়ার করে গান্ধী রাজনৈতিক নেতা থেকে প্রায়-ঈশ্বরে পরিণত হয়েছেন, যে ভক্তি-র ভাষা হয়ে উঠেছিল ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনগণের কাছে পৌঁছনোর একমাত্র মাধ্যম, সেই ‘ভক্তি’র মাধ্যমেই তামিল জনপ্রিয় সিনেমা ও রাজনীতির মধ্যে একটি দৃঢ় সেতু গড়ে ওঠে; এ কথা প্রেমিন্ডা জেকব তাঁর ‘সেলুলয়েড ডেইটিস’ বইটিতে (ওরিয়েন্ট ব্ল্যাকসোয়ান ২০১০) বিশদে প্রতিভাত করেছেন৷
এ ক্ষেত্রে আবার প্রশ্ন তোলা যাক : যারা দক্ষিণি রাজনীতিতে চিত্রতারকাদের প্রাদুর্ভাব নিয়ে এত চিন্তিত, কেন তাঁরা গান্ধীবাদের ভক্তি-ভিত্তিক ব্যক্তিপূজা নিয়ে একই শঙ্কা প্রকাশ করেন না? দুই অনাকাঙ্ক্ষিত দুয়োরানির ---আঞ্চলিকতা ও জনপ্রিয় সিনেমা --- মেলবন্ধনের ফলেই কি এমন গেল-গেল রব? গণতন্ত্রের মূলে রয়েছে যে সার্বভৌমত্বের গল্প --- অর্থাৎ যে ‘আমরা-সবাই-রাজা-আমাদের-এই -রাজার -রাজত্বে’ বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে আমরা একটি সার্বভৌম দেশের নাগরিক হতে রাজি হই --- তা একই ভাষার সমান শরিক না হলে যে প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে, সে কথা মাধব প্রসাদ আমাদের শিখিয়েছেন৷ সেই রকমই একটি মুহূর্তে, যখন দেশের মানুষের উপর হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ছিল তুঙ্গে, তখন সিনেমার মাধ্যমে তামিল জনসাধারণ খুঁজে নেন তাদের মনোমত অধীশ্বর কিছু, যাদের পর্দার ও পর্দার বাইরের রাজনীতির মধ্যে তাঁরা নিজেদের আত্মপরিচয়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে নিয়েছিলেন৷ একে মাধব প্রসাদ তাঁর ‘সিনে-পলিটিক্স’ গ্রন্থে ‘ফ্যান ভক্তি’ বলে অভিহিত করেছেন, যার মাধ্যমে পিলসুজের তলার অন্ধকারও খুঁজে নেয় সার্বভৌমত্বের মানে৷ সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ এ ক্ষেত্রে প্রধানত আপসমূলক, যার মাধ্যমে ভারত-নামক গণরাজ্যটির থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন না হয়ে গিয়েও একটি উপ-জাতি ও উপ-জাতীয়তাবাদ হিসেবে টিকে থাকা যায়৷ এই উপ-জাতীয়তাবাদকে কেন্দ্র করেই ক্রমে গড়ে ওঠে স্বাধীনতা-উত্তর তামিলনাড়ু, ও অন্যান্য আরও অনেক রাজ্যের, রাজনীতি৷ এ ক্ষেত্রে চলচ্চিত্র ছিল সার্বভৌমত্বের একটি বিকল্প ক্ষেত্র, যেখানে কল্পিত বয়ানে জাতিত্বের সম্পূর্ণ প্রকাশ সম্ভব৷ কিন্তু সেই উপজাতিত্বের দীর্ঘ আয়ু, তাঁর সঙ্গে ভারতরাষ্ট্রের সম্বন্ধ, এবং সেই রাজনীতির সামন্ততান্ত্রিক চেহারা --- এ সবই ভারতীয় রাজনীতির মূল চরিত্রের সাথে যুক্ত; তার দোষ সিনেমার উপর শুধু বর্তায় না৷
অচিরেই দ্রাবিড়িয় জাতীয়তাবাদ ও তামিল জনপ্রিয় সিনেমার এমনই একচ্ছত্র অধীশ্বর হয়ে ওঠেন এমজি রামচন্দ্রন, যাকে মানুষ চিনল এমজিআর নামে৷ করুণানিধি জমানার ভ্রষ্টাচারের বিরোধিতা করে ১৯৭২ সালে তৈরি করলেন সেই দল, যা আজ এআইএডিএমকে নামে পরিচিত৷ ডিএমকে-র রাজনীতি ক্রমে চেহারা নিল দ্রাবিড়ত্বের কুলীন প্রতিনিধির; অন্যত্র এমজিআর ভরসা হলেন পপুলিজম-এ বিশ্বাস রাখা জনসাধারণের৷ এখানে মনে রাখা দরকার যে জরুরি অবস্থার পরবর্তীকালে এআইএডিএমকে ক্রমেই দিল্লি-বান্ধব হয়ে ওঠে; ডিএমকে-র তামিল ইলমের দাবির শত যোজন দূরে থেকে তারা তামিল (উপ-)জাতির উপর ভারতরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ আধিপত্য মেনে নেয়৷ রামচন্দ্রন ও পরবর্তী জয়ললিতার শাসনপদ্ধতিতে যে স্বৈরাচারের প্রচ্ছন্ন ছায়া, তার পূর্বসূরি ইন্দিরা গান্ধী; সেই একই ‘অত্যাচারমূলক প্রগতি ’র ধারা অক্ষুণ্ণ রেখে নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি আশি শতাংশ ভারতবাসীর পকেট মেরেছেন৷
কিন্তু এই পপুলিজম ও সিনে-রাজনীতির দুনিয়াতেও জয়ললিতার উত্থান বুঝে ওঠা সহজ কাজ নয়৷ ১৯৮৭ সালে এমজিআর -এর মৃত্যুর পরে তিনি অভাবনীয় ভাবে দলের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার রাশ কেড়ে নেন এমজিআর-এর স্ত্রী ও প্রাক্তন অভিনেত্রী ভি এন জানকীর থেকে; যদিও এ কথা অনস্বীকার্য যে রামচন্দ্রন নিজে তাঁকে এই নেত্রী ভূমিকার জন্য তৈরি করে গিয়েছিলেন৷ কিন্ত্ত জয়ললিতা রামচন্দ্রনের ছায়া থেকে প্রায় সম্পূর্ণ বেরিয়ে এসে নিজেকে যে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ‘আম্মা ’তে রূপান্তরিত করেন, তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে তামিল রাজনীতিতে তাঁর স্থায়িত্বের চাবিকাঠি৷ জনপ্রিয় সিনেমার যৌনতা -ভিত্তিক যে আপৃষ্ঠ বন্ধনে অভিনেত্রীরা বন্দি থাকেন, তাঁর মধ্যে বন্ধ থাকলে এমজিআর-এর ‘প্রিয় অভিনেত্রী’র বেশি জয়ললিতার আর কিছু হয়ে ওঠা হতো না৷ তাই জয়ললিতা পরে নেন এক বিশাল আলখাল্লা, যা তাঁর শরীরকে প্রায় সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেয়; জয়ললিতা পরিণত হন অযৌন ‘আম্মা’য়৷ সিনেমার প্রচ্ছায়া এই আম্মার দেহের অনেক পিছনে শুধু রামচন্দ্রনের স্মৃতিসূচক হয়ে থেকে যায়; রামচন্দ্রনের সঙ্গে তাঁর পরিবার-বহির্ভূত সম্পর্ককে রাজনৈতিক বৈধতা দেওয়া ছাড়া তার আর কোনও ভূমিকা থাকে না৷ অন্নদায়িনী মা ভারতীয় পিতৃতান্ত্রিক আধুনিকতার বহু পুরাতন দুর্বলতা; সেই দৌর্বল্যতে ভর করেই জয়ললিতা রাষ্ট্রযন্ত্রের সমার্থক হয়ে ওঠেন৷ আম্মা ক্যান্টিন, আম্মা ফার্মেসি, আম্মা ফ্যানের দৌলতে জয়ললিতা-ইমেজ পৌঁছে যায় তামিলনাড়ুর ঘরে ঘরে, রাষ্ট্রদত্ত সমাজকল্যাণের প্রতীক হয়ে৷
কিন্ত্ত এই ইমেজ-সর্বস্ব জনকল্যাণের সাথে জনগণের দূরত্ব আজ অপরিমেয়৷ আজকের এআইএডিএমকে জাতপাতের রাজনীতির সাথে অঙ্গাঙ্গী জড়িত; তার প্রধান নেতারা --- শশীকলা ও পান্নিরসেলভাম দু’জনেই --- থেভার জাতের প্রতিনিধি৷ তাদের প্রায়সঙ্গী পিএমকে তামিলনাড়ুতে দলিতহত্যাকে শিল্পকলায় পরিণত করে ফেলেছে প্রায়, যার প্রতি জয়ললিতা চুপ করে থেকেছেন৷ তামিলনাড়ুর মিডিয়ার কণ্ঠরোধ জয়ললিতার চিরকলঙ্ক হয়ে রইবে৷ যে (উপ-)জাতীয় পপুলিজম থেকে ডিএমকে ও এআইডিএমকে দুয়েরই জন্ম, তা এহ বাহ্য হয়ে উঠেছে ; জনগণের স্বাধীন, সবাক হওয়ার গল্প হয়তো সিনেমার সাদা পর্দা আজও ফিসফিসিয়ে শোনায়, কিন্ত্ত তা বাস্তবায়িত করার পথ হয়তো আর বেঁচে নেই৷ সে কথাই হয়তো গুঢ় সঙ্কেতে রজনীকান্ত-এর নতুন ছবি, ‘কাবালি’ (২০১৬ ) বলে যায়; যে ছবিতে একদা ট্রেড ইউনিয়নিস্ট বর্তমানে জনকল্যাণকারী গ্যাংস্টার মালয় -নিবাসী কাবালি বিদেশবাসী তামিলদের জন্যে যে মুহূর্তে সব বিরোধিতা অতিক্রম করে জয় লাভ করেন, সেই মুহূর্তে রাষ্ট্র তাকে আততায়ীর দ্বারা হত্যা করায়৷ যে কণ্ঠরুদ্ধ জনগণের সার্বভৌমত্বের স্বপ্ন প্রতিনিয়ত দলিত হয়, তারা স্বপ্নবিকারে ভোগে, কতিপয় নেতাকে নিজেদের স্বপ্নসার ভেবে নিয়ে তাদের বিপদে ও মৃত্যুতে জীবনদান করে, অথবা নোটবন্দির হয়রানির মধ্যে নিষ্পাপ যন্ত্রণাবিলাসীর মতো ভাবে, এই যে কষ্ট সে পাচ্ছে, সেই বুঝি বা প্রগতি, স্বাধীনতা, ইত্যাদির লক্ষণ৷ এ দুর্ভাগা দেশে সেই অভাগাদেরও তো বেঁচে নিতে হবে!
বৈদূর্য চক্রবর্তী: চলচ্চিত্র গবেষক
সৌজন্যে: এই সময়, কলকাতা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন