যুক্তরাষ্ট্রের জটিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি
ফারিয়াল রহমান লুবনা
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন পপুলার ভোট বেশি পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬,০৫,১৫,২৬৪ (ছয় কোটি পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ২৬৪) ভোট বা মোট ভোটের ৪৭.৭%। পক্ষান্তরে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৬,০০,৮৫,৪৫৬ (ছয় কোটি ৮৫ হাজার ৪৫৬) ভোট, তথা মোট ভোটের ৪৭.৩%। তার মানে হিলারি ক্লিনটন ৪,২৯,৮০৮ (চার লাখ ২৯ হাজার ৮০৮ ) বা ০.৪% ভোট বেশি পেয়েছেন। ভোটের এই ব্যবধান সত্ত্বেও নির্বাচনে জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন তিনি প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট। এটা কীভাবে সম্ভব?এই রহস্য বুঝতে হলে আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি আমাদের ঠিকভাবে বুঝতে হবে। তবে তার আগে বুঝতে হবে সেখানকার সরকার পদ্ধতিও। আমেরিকা ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিকান বা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে পরিচিত। সেখানে ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে তিনটি বিভাগ। অঙ্গরাজ্যের সরকারগুলোরও রয়েছে অনুরূপ কাঠামো। বিভাগ তিনটি হচ্ছে— ১. নির্বাহী বিভাগ : দেশ পরিচালনায় প্রেসিডেন্ট এবং বিভিন্ন বিভাগের ও কার্যালয়ের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেন। এই নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে কংগ্রেসে পাসকৃত আইন-কানুন বাস্তবায়ন করা হয়। ২. আইন বিভাগ : সিনেট ও হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস নিয়ে গঠিত এই বিভাগ। সমষ্টিগতভাবে এর নাম কংগ্রেস। কংগ্রেসের দায়িত্ব আইন প্রণয়ন করা। ৩. বিচার বিভাগ : সুপ্রিম কোর্টের ৯ বিচারপতি ও নিম্ন আদালত নিয়ে গঠিত এই বিভাগ। এই বিভাগ সংবিধান সংশ্লিষ্ট আইনের ব্যাখ্যা প্রদান করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্য আছে। প্রতি অঙ্গরাজ্য থেকে দু’জন সিনেটর নিয়ে গঠিত হয় সিনেট। এই হিসেবে ৫০টি অঙ্গরাজ্যে রয়েছেন মোট ১০০ জন সিনেটর। সব অঙ্গরাজ্য মিলে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসে রয়েছে ৪৩৫ জন প্রতিনিধি। প্রতি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে বিভিন্ন সংখ্যক প্রতিনিধির অনুমোদন দেওয়া হয়। যেমন—ক্যালিফোর্নিয়া সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য। হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এর প্রতিনিধি সংখ্যা ৫৩ জন। পক্ষান্তরে আলাস্কা, মনটানা, উয়োমিং, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটাসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যা খুবই কম। তাই এসব অঙ্গরাজ্যে প্রতিনিধির সংখ্যা মাত্র একজন।
আমেরিকার দুটো বড় রাজনৈতিক দলের নাম ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টি। গ্রিন পার্টি ও লিবার্টারিয়ান পার্টি নামে আরো দুটি রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু তাদের প্রভাব খুবই কম। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবেও যে কেউ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এই দলগুলি তাদের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বড় বড় শহরে সম্মেলন আহ্বান করে। প্রতি দল সেই সম্মেলনে ইলেক্টরস বা নির্বাচকগণদের নিয়োগ দেয়। এসব ব্যক্তি তারাই হন যারা দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ও কঠোর পরিশ্রমী। তবে তারা কংগ্রেসম্যান হতে পারেন না। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় অফিসেও তারা কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। প্রত্যেক দল বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের জন্য সমসংখ্যক শক্তিশালী ও কার্যকর ইলেক্টর ও কংগ্রেসম্যান বাছাই করেন। যেমন—ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টি ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫ জন করে ইলেক্টর নির্বাচন করেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫ জন কংগ্রেসম্যান, ৫৩ জন হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস সদস্য ও ২ জন সিনেটর বাছাই করেন। অন্যদিকে আলাস্কায় বা উয়োমিংয়ের মতো ছোট ছোট রাজ্যে আছে ৩টি করে শক্তিশালী ইলেক্টর, ১ জন হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস সদস্য ও ২ জন সিনেটর।
অতএব, প্রত্যেক দলের ইলেক্টর বা নির্বাচকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৩৮ জন। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে এই সংখ্যা ছিল দ্বিগুণেরও বেশি। তবে শেষ পর্যন্ত ৫৩৮ জনই চূড়ান্ত ভোটের জন্য লড়াই করেন। ৫৩৮ জন ইলেক্টর আসলে ৪৩৫ জন হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস সদস্য ও ১০০ সিনেটরেরই যোগফল। তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরো তিনজন ইলেক্টর যোগ করা হয়েছে। এই তিনজন ইলেক্টর আসেন ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া বা ডিসি থেকে। ডিসি থেকে কোনো সিনেটর বা রিপ্রেজেনটেটিভসের অনুমোদন নেই। যা হোক, ইলেক্টরের সমন্বয়ে গঠিত হয় ইলেক্টরাল কলেজ বা নির্বাচকমণ্ডলী। এর দ্বারা কোনো স্থান বুঝায় না। এটি একটি ‘পিপল বডি’ মাত্র।
ভোটের দিন ভোটাররা যে কোনো স্থানে তাদের ভোট দিতে পারেন। আসলে তারা যা করেন তা হলো তারা পার্টির প্রতিনিধিকে ভোট দেন। নির্বাচন শেষে প্রত্যেক রাজ্যে যখন ভোট গণনা করা হয়, তখন একটি দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। যে দলই সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করুক না কেন, তারা ঐ রাজ্যের সমস্ত ইলেক্টর বা নির্বাচক পদে পাস করার অধিকার লাভ করেন। আর পরাজিত দল কোনো নির্বাচক আসনই পায় না। একে বলা হয়, ‘উইনার টেক অল পলিসি’। অর্থাত্ বিজয়ীরাই সকল ইলেক্টরের পদে জয়লাভ করেন। আবার ক্যালিফোর্নিয়ার উদাহরণ দেওয়া যায়। ক্যালিফোর্নিয়া একটি ব্লু স্টেট। এখানে প্রথাগতভাবে ডেমোক্র্যাটরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। হিলারি ক্লিনটন এখানে ভোট পেয়েছেন ৬১.৫%। সুতরাং ডেমোক্র্যাটরা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পেয়েছেন ৫৫ জন ইলেক্টর। কিন্তু রিপাবলিকানরা কিছুই পাননি। আবার টেক্সাস রেড স্টেট হিসেবে পরিচিত। এখানে রিপাবলিকানদেরই জয়-জয়কার। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখানে পেয়েছেন ৫২.৫% ভোট। ফলে টেক্সাস থেকে ৩৮ জন ইলেক্টরের মধ্যে ৩৮ জনই পেয়েছেন রিপাবলিকানরা।
ইলেক্টর কবজা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আসছে ডিসেম্বরে ৫৩৮ জন ইলেক্টরের ভোটেই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নভেম্বরের নির্বাচনে কোন দল কত ইলেক্টর বা নির্বাচক পায় তাই আসলে নির্ধারণ করা হয়। আর ইলেক্টরাল কলেজের ভোট হয় ডিসেম্বরে। নির্বাচকগণ সাধারণত তাদের নিজস্ব দলের প্রার্থীর জন্যই ভোট দেন। অতএব একটি দলের মোট ইলেক্টর বা নির্বাচকের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই সিদ্ধান্ত নেবেন কে হবেন প্রেসিডেন্ট।
বিষয়টি এখন অঙ্ক কষে বোঝানো যায়। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ২৭০ ইলেক্টরাল ভোট পাওয়ার ম্যাজিক সংখ্যার কথা আমরা সবাই শুনেছি। আসলে ৫৩৮ এর অর্ধেক এবং তার সঙ্গে টাই-ব্রেকারের জন্য আরো এক যোগ করলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ২৭০। তার মানে ২৬৯ ভোট পেলেও চলবে না। কেননা এর দ্বারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন বোঝায় না। প্রত্যেক রাজ্য থেকে মোট ইলেক্টরের সংখ্যা গণনা করে এই হিসেব করা হয়। এর মধ্যে যিনি ২৭০ ইলেক্টরাল ভোট পান, তিনিই প্রেসিডেন্ট পদে জয়লাভ করেন।
ইলেক্টরাল ভোট দেওয়া হয়নি এখনো, এটা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ ডিসেম্বরে। আগেই বলা হয়েছে প্রত্যেক দলের ইলেক্টর প্রথাগতভাবে তাদের দলীয় প্রার্থীকেই ভোট দেন। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এজন্য তাকে বলা হচ্ছে ‘প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট’। তার মানে তিনি এখনো নিশ্চিত প্রেসিডেন্ট নন। তবে যেহেতু সম্ভাব্য ২৯০ ইলেক্টরাল ভোট তার পক্ষে রয়েছে, তাই তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই নিবন্ধ যখন লেখা হচ্ছে, তখন পর্যন্ত মিশিগানের ভোট গণনা এখনো শেষ হয়নি। এখানে ডেমোক্র্যাটদের প্রভাব বেশি। যদি হিলারি মিশিগানে জয়লাভ করেন, তাহলে তিনি আরো ১৬টি ইলেক্টরাল ভোট পাবেন। এতে তার মোট ইলেক্টরাল ভোট সংখ্যা দাঁড়াবে ২৩২। (সর্বশেষ খবর অনুযায়ী হিলারি ২৩২ ্ইলেক্টরাল ভোটই পেয়েছেন)।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম ফ্যাক্টর হলো ‘ওয়েস্টেড’ বা নষ্ট ভোট। মার্কিন জনগণ অনেক সময় এই বিষয়টি উপেক্ষা করে চলেন বা দেখেও দেখেন না। এখানে নষ্ট ভোট বলতে এমন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া বোঝায় যার জেতার সম্ভাবনা খুবই কম। সামপ্রতিক নির্বাচনসমূহে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানের পাশাপাশি আরো দুটি দলের কিছুটা সরব অংশগ্রহণ লক্ষ করা যায়। এর মধ্যে একটি দল হলো জিল স্টেইনের দ্য গ্রিন পার্টি ও অন্যটি গ্যারি জনসনের লিবার্টারিয়ান পার্টি। এবারকার নির্বাচনের ব্যালট পেপারে ছিল তাদের নামও। তারা জাতীয় পর্যায়ে তুলনামূলকভাবে অপরিচিত। এমনকি জনসন নিউ মেক্সিকো ও ড. জিল স্টেইন ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর হলেও সারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পরিচিতি কম। তাদের দলের নেই বড় কোনো তহবিল। তহবিলের অভাবে তারা বড় দুটি রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানের সঙ্গে প্রচার-প্রচারণায় প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম নন। মনে রাখা দরকার, হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প যথাক্রমে ৪৭.৭% ও ৪৭.৩% পপুলার ভোট পেয়েছেন। তারা দু’জনেই পেয়েছেন মোট ভোটের ৯৫%। অবশিষ্ট ৫% ভোট অন্য দুটি দল তথা গ্রিন ও লিবার্টারিয়ান পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন। তাদের মাত্র ০.০৪% ভোটই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে ট্রাম্প ও হিলারির মধ্যে। সাধারণত ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের একচ্ছত্র প্রভাব যেসব রাজ্যে, সেখানে এমনটি ঘটে না। কিন্তু ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ বলে পরিচত যেসব রাজ্যে প্রধান দুটি দলের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিরাজমান, সেখানে গ্রিন ও লিবার্টারিয়ান পার্টির প্রাপ্ত কিছু ভোটই জয়-পরাজয় বদলে দিতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিনের ক্ষেত্রে ঘটেছে এই বিপর্যয়টা। উভয় রাজ্যে ডেমোক্র্যাটদের প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি। পেনসিলভেনিয়ায় ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৮.৭% ভোট। হিলারি পেয়েছেন ৪৭.৬% ভোট। অর্থাত্ প্রধান দুই প্রার্থীর মধ্যে এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। ব্যবধান মাত্র ১.১%। এই দুটি রাজ্যে গ্রিন ও লিবার্টারিয়ান পার্টি একত্রে পেয়েছে মোট ভোটের ৩.১%। যদি এই ৩.১% ওয়েস্টেড ভোটের মাত্র ১.১% ভোট হিলারির বাক্সে জমা পড়তো, তাহলে তিনি পেনসিলভেনিয়ায় জয়লাভ করতেন। এতে তিনি পেতেন অতিরিক্ত ২০টি ইলেক্টরাল ভোট। আর উইসকনসিনে পেতেন আরো ১০টি ইলেক্টরাল ভোট। মজার ব্যাপার হলো, এবার প্রায় অর্ধেক ভোটার ভোট দেননি। তাদের সামান্য ভোটও যদি হিলারি পেতেন, তাহলে ইলেক্টরাল ভোটের ফলাফল হয়ে যেত অন্যরকম।
এরপরও হিলারি ক্লিনটনের আশা কি এখনো আছে? আগামী ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইলেক্টরাল কলেজের ভোটে জয়লাভ করতে তার দরকার অতিরিক্ত ৩৮ ইলেক্টরাল ভোট। তাহলে তিনি ম্যাজিক ফিগার ২৭০-এ উপনীত হবেন এবং এতে ট্রাম্প ২৯০ থেকে নেমে আসবেন ২৫২-তে। এই ইলেক্টর বা নির্বাচকগণ তাদের পার্টির লাইনেই ভোট দিয়ে থাকেন। এর ব্যতিক্রম খুবই বিরল। কোনো নির্বাচক যদি অন্য দলের প্রার্থীকে ভোট দেন, তাহলে তাকে বলা হয় ‘ফেইথলেস’ ইলেক্টর। এই বিশ্বাসভঙ্গের দায়ে তাদের শাস্তি হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। অবশ্য কিছু কিছু রাজ্যে এই অবিশ্বস্ততাকে দেখা হয় বেআইনি কাজ হিসেবে। এজন্য জরিমানা করা হয় এক হাজার ডলার। আবার ফেইথলেস ইলেক্টরগণ সম্মিলিতভাবে ভোটদানেও বিরত থাকতে পারেন। তাঁরা যদি হিলারিকে ভোট দেন তাহলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। এখন হিলারির সমর্থকরা চাচ্ছেন অলৌকিক কিছু ঘটুক। ৩৮ জন ফেইথলেস ইলেক্টর পরাজয়ের বদলে তার জন্য ছিনিয়ে আনতে পারে বিজয়মালা।
ফারিয়াল রহমান লুবনা : যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর অধিবাসী। গত তিনটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিশ্লেষক ও দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন পর্যবেক্ষণকারী।
ইংরেজি থেকে ভাষান্তর : ফাইজুল ইসলাম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন