ওমরান দাকনেসকে যুক্তরাষ্ট্রে নিতে চেয়ে নিউ ইয়র্কের ছয় বছরের শিশু অ্যালেক্সের ওবামাকে চিঠি
তবে সকলকেই ছাপিয়ে গেছে নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা বছর ছয়েকের শিশু অ্যালেক্স। ওমরানের ওই ছবি তার শিশু মনেও প্রভাব ফেলেছিল। ওমরানের দুঃখময় জীবনকথা জানতে পেরে সহমর্মী হয়ে ওঠে অ্যালেক্স। আর এর পরেই সকলকে অবাক করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চিঠে লিখে ফেলে অ্যালেক্স।
চিঠিতে স্পষ্টতই জানায়, ‘আমরা ওকে পরিবার দেব, ও আমাদের ভাই হয়ে থাকবে৷ আমার ছোট্ট বোন ক্যাথরিন ওর জন্য প্রজাপতি আর জোনাকি ধরে দেবে৷ স্কুলে আমার এক বন্ধু আছে, নাম ওমর৷ সে-ও সিরিয়া থেকে এসেছে৷ ওমরের সঙ্গে ওর আলাপ করিয়ে দেব৷ তার পর সব্বাই একসঙ্গে খেলব৷’
খুদে হাতের আঁকাবাঁকা অক্ষরে লেখা চিঠির একাংশ |
প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভূত প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ কিন্তু অ্যালেক্সকে নিয়ে চর্চা অনেক বেশি৷ টেক্সাসের এক মহিলা যেমন বলেছেন, ‘ছ’বছরের এক শিশুর মধ্যে এত মানবিকতা, ভালোবাসা, বোধ থাকতে পারে! ওঁর অভিভাবককে স্যালুট করি’ কেউ কেউ আবার এই প্রসঙ্গ তুলে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি৷ ক’দিন আগেই যে ট্রাম্প শরণার্থীদের ক্যান্ডির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, তাঁর অ্যালেক্সকে দেখে শেখা উচিত, এমন বলতেও ছাড়েননি অনেকে৷
অ্যালেক্সের উদাহরণ তুলে ধরেই এখন উন্নত দেশগুলির কাছে ওবামার আবেদন, সিরিয়ার শরণার্থীদের প্রতি বেশি করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন৷ চলতি বছরের অগস্টের মধ্যেই কমপক্ষে ১০ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস৷ ২০১৭-এর মধ্যে আরও ১,১০ ,০০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওবামা৷ তবে, সেই আশ্রয় বা সাহায্য যদি অ্যালেক্সের মতো নিষ্পাপ খুদের কাছ থেকে আসে, তবে তার গুরুত্ব তো বেড়ে যাবেই৷ কিন্তু অ্যালেক্স ও ওমরানের কি কোনও দিন দেখা হবে? না কি এই চিঠিও এক প্রতীকি বার্তাই বহন করবে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন