হোয়াটসআপ এবং ফেসবুক
মেসেঞ্জার-কে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে
ফেলতে গুগল নিয়ে এল
তাদের নিজেদের
মেসেজিং অ্যাপ
‘অ্যালো’৷ অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস
প্ল্যাটফর্ম, দুটোতেই মিলছে৷ একই সঙ্গে
প্রিভিউ সংস্করণের
‘গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট’-এরও আবির্ভাব
ঘটাল অ্যালো৷
ব্যবহারকারীর যে কোনও মুশকিল আসান
করবে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট৷ দেবে সমস্ত
রকম সাহায্য৷
শুধু লিখতে
হবে কোন
সাহায্য প্রয়োজন৷ গুগল গ্রুপ
প্রোডাক্ট ম্যানেজার অমিত ফুলে বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক
দিন বন্ধুবান্ধব
ও পরিবারের
সঙ্গে যোগাযোগ
রক্ষার্থে মেসেজিং-এর উপর ভরসা
করি৷ কিন্তু, অনেক সময়েই
আমাদের মেসেজ
চালাচালিতে বিঘ্ন ঘটে নানা কারণে৷
কখনও ফ্লাইট
স্টেটাস চেক
করতে, কখনও
আবার নতুন
রেস্তোরাঁ খুঁজতে৷ সেই কারণেই আমরা
অ্যালো তৈরি
করেছি৷ এই
মেসেজিং অ্যাপে
মেসেজ চালাচালিতে
কোনও সময়েই
বিঘ্ন ঘটবে
না, কারণ
যা কিছু
আপনার দরকার
তার জোগান
একই সঙ্গে
পাওয়া যাবে৷’
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্ষমতাসম্পন্ন
অ্যালো-র
বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে স্মার্ট রিপ্লাই, ছবি, ইমোজি
ও স্টিকার
শেয়ার করার
সুবিধা৷ ভারতীয়
ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে ‘হিংলিশ’-এ
স্মার্ট রিপ্লাই
পাঠানোর সুযোগ৷
ভারতীয় ব্যবহারকারীদের
মধ্যে অ্যাপটিকে
জনপ্রিয় করতে
নিরপেক্ষ শিল্পীদের
তৈরি ২০০-টিরও বেশি
স্টিকার মিলছে
অ্যালো-তে৷
গত মে
মাসে গুগলডুয়ো ও
অ্যালো আনার
কথা ঘোষণা
করেছিল৷ অ্যালো-তে রয়েছে
স্মার্ট রিপ্লাই
ফিচার, যার
সাহায্যে আঙুলের
একবারের স্পর্শেই
জবাবি মেসেজ
পাঠানো সম্ভব৷
ব্যবহারকারীকে স্মার্ট রিপ্লাই অপশন ছবি
পাঠানোর বিষয়েও
পরামর্শ দেবে৷
গ্রাহকের ব্যবহার
লক্ষ্য করে
তা থেকে
আপনাআপনি শিক্ষা
নিয়ে অ্যালো
নিজেকে মানিয়ে
নেবে৷ গুগল অ্যালো-র
সমস্ত চ্যাট
এনক্রিপটেড৷ আর ইনকোগনিটো মোডে মিলবে
এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের
সুবিধা৷
এদিকে
গত মাসেই
আবির্ভাব ঘটেছে
স্কাইপে-এর
প্রতিদ্বন্দ্বী ডুয়ো-র৷ ভিডিও কলিং
-এর বাজারে
গুগ্ল ডুয়ো
অ্যাপ নিয়ে
অনুপ্রবেশ করল গুগ্ল৷ অ্যান্ড্রয়েড -এর
পাশাপাশি এই
অ্যাপ চলবে
আইওএস প্ল্যাটফর্মেও৷
অর্থাৎ, অ্যান্ড্রয়েড
অপারেটিং সিস্টেম-এর স্মার্টফোন
যাঁরা ব্যবহার
করেন, তাঁরা
তো বটেই, এই অ্যাপ
ব্যবহার করে
স্বচ্ছন্দে ভিডিও কলিং করতে পারবেন
আইফোন এবং
আইপ্যাড ব্যবহারকারীরাও, এমনই দাবি
গুগ্ল কর্তৃপক্ষের৷
ভিডিও কলিং
-কে ‘জটিলতা
মুক্ত’ করার
লক্ষে গত
মে মাসে
তাদের ডেভেলপার
কনফারেন্সে প্রথম ঘোষণা করে গুগ্ল
কর্তৃপক্ষ৷ এক বিবৃতিতে ফুলের মন্তব্য, ‘কারও সঙ্গে
একান্তে কথা
বলার জন্য
ভিডিও কলিং-ই পরবর্তী
সেরা জিনিস
হতে চলেছে৷
ভারতের মতো
দেশে অ্যাপটি
যাতে স্বচ্ছন্দে
ব্যবহার করা
যায় , তা
সুনিশ্চিত করতে এটি এমন ভাবে
তৈরি করা
হয়েছে, যাতে
তা নেটওয়ার্কের
সংযোগ ক্ষমতার
সঙ্গে মানিয়ে
নিয়ে চলতে
পারে৷ আমাদের
আশা এর
ফলে ভিডিও
কলিং বিষয়টি
অনেক সহজ, স্বাচ্ছন্দ্যকর এবং আরও
বেশি করে
ব্যক্তিগত হয়ে উঠবে৷’
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা
এবং নিরাপত্তা
সুনিশ্চিত করতে সমস্ত ডুয়ো কল
এন্ড -টু-এন্ড এনক্রিপটেড৷
অর্থাৎ, যে
দুজনের মধ্যে
ভিডিও কল
হচ্ছে, তাঁরা
ব্যতীত আর
কেউই কোনও
ভাবে জানতে
পারবেন না, কী এবং
কতক্ষণ কথা
হল৷ এটা
তৃতীয় পক্ষের
পক্ষে জানা
একমাত্র তখনই
সম্ভব, যদি
কারও হ্যান্ডসেটটি
হাতছাড়া হয়৷
মাইক্রোসফট -এর স্কাইপে বা অ্যাপল্-এর ফেসটাইম
বাজারে থাকলেও, মোবাইল ফোনে
ভিডিও কলিং
এখনও সেভাবে
জনপ্রিয় হয়ে
ওঠেনি৷ এর
কারণ অবশ্য
অনেক৷ তবে
তার মধ্যে
মূল কারণ, স্কাইপে-র জন্য ব্যবহারকারীকে পৃথক
অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়৷ এ ছাড়া
এই ভিডিও
কলিং অ্যাপ্লিকেশনগুলির
বেশিরভাগই সব ধরনের স্মার্টফোনে ব্যবহার
করা যায়
না৷
ব্যবহারকারীর
মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট থাকলেও, প্রথমবার স্কাইপে
ব্যবহার করতে
হলে সেই
অ্যাকাউন্ট নাম বা পাসওয়ার্ড স্কাইপে
নেবে না৷
তাঁকে নতুন
অ্যাকাউন্ট নাম নথিভুক্ত যেমন করতে
হবে, তেমনই
বেছে নিতে
হবে নয়া
পাসওয়ার্ড৷ যাঁদের মাইক্রোসফটের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁরা যদি
সেই অ্যাকাউন্ট
নামও বেছে
নেন, সে
ক্ষেত্রেও তাঁকে নথিভুক্তকরণের ঝক্কি পোয়াতে
হবে৷ ডুয়ো-র ক্ষেত্রে
এসব সমস্যা
নেই৷ গুগল-এর জিমেল, ইউটিউব এবং
অন্য যে
কোনও প্ল্যাটফর্মে
ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থাকলেই, তা মারফত্
যত খুশি
ডুয়োতে ভিডি
ও কলিং
করা যাবে৷
খরচ হবে, ইন্টারনেট অথবা ওয়াই-ফাই ডেটা৷
সেই কারণেই
এখনকার শুধু
ভয়েস কলিং-এর বদলে
আগামী দিনে
ভিডিও কলিং-ই রেওয়াজ
হবে বলে
মনে করছে
গুগল৷ যাঁর
সঙ্গে কথা
বলছেন বা
যিনি আপনাকে
ফোন করেছেন
তাঁকে চাক্ষুস
দেখা---এর
আনন্দই আলাদা৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন